কিংবদন্তী শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত
"যে হৃদয় শাহাদাতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা লালন করে, সে হৃদয় কখনো হতাশ হয় না" তার ফেসবুক থেকে নেওয়া।
শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা জাহাজের পুরনো আসবাপত্রের ব্যবসা করেন। দুই ভাইবোনের মধ্যে শান্ত বড়। ফয়সাল আহমেদ শান্ত চট্টগ্রামের ওমরগনি এমইসি কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নতুন প্রজন্মের কিংবদন্তীঃ
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলমান ছিল। শহীদ ফয়সাল আর বাসায় থাকতে পারেনি। বাড়ি থেকে সবাই নিষেধ করছিল বের না হওয়ার জন্য। কিন্ত যার মনে শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা থাকে, সে কি কখনো বাধা মানে? সেদিন ফয়সাল টিউশনে যাওয়ার পথে আন্দোলনে যুক্ত হন।
ষোলশহর থেকে ছাত্র-যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেন। পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। শান্ত ছিল সবার সামনের সারিতে। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিস্তলের গুলি ছুড়তে থাকে। এর মধ্যে একটি বুলেট শান্তর বাম পাশে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ে শান্ত। কয়েকজন তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লেগেছিল।
পিতামাতার অভিব্যাক্তঃ
শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন,আমার ছেলেতো অধিকার চাইতে গিয়েছিল; কিন্তু সেই অধিকারের বদলে তাকে বুলেট উপহার দেওয়া হলো কেন? বিনাদোষে আমার সন্তানকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই আমি। আমি জাকির হোসেন শহীদ ফয়সালের গর্বিত পিতা— এইটাই আমার পরিচয়। আমি শহীদের পিতা।
‘আমার তো অনেক আশা ছিল। আমার ছেলে পড়ালেখা করে অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আসবে। আমি সেরা মা হব। সে ইচ্ছা যে এভাবে ফলে যাবে, তা কে জানত। আমার বাবা যে এত বড় অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আসবে, আমি তো বুঝতে পারি নাই। আমারে সে সেরা মায়ের সম্মান দিয়ে গেল।’
আল্লাহ তায়ালা শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত ভাইকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।